একটি অনলাইন পোর্টালে প্রায় প্রতিনই সরকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত অপপ্রচার চলছে। দু-একটি অনলাইন পোর্টাল খুবই পরিকল্পিতভাবে এসব চালাচ্ছে। এদের উদ্দেশ্যে হেফাজতে ইসলামের চেয়েও কম ভয়ংকর নয়। এরা প্রশাসনকে জনগনের শত্রুতে পরিণত করে দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটানোর মতলব আঁটছে। নিউজ পোর্টালগুলোর এহেন কাজকারবার দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এসব অপরাধের দায়ে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা হতে পারে। কিন্তু সরকারের সহিষ্ণুতার সুযোগে আওয়ামীলীগের সমর্থক মুখোশধারী কিছু নিউজ পোর্টালে চলছে সরকার বিরোধী অপপ্রচারের প্রতিযোগিতা। এসব নিউজ পোর্টালে মনগড়া কাহিনী প্রকাশ করে বলা হচ্ছে রাষ্ট্রের প্রশাসন নাকি সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করছে। কিছু পোর্টালে পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধেও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্যাসিনো ক্যালেংকারীর সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত এক বিতর্কিত সাংবাদিক সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পরিকল্পিত অপপ্রচারে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, তাঁর ভাষায় আমলা এবং প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নাকি আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে কাজ করছেন।
UN official’s name surfaces in a murder case in Bangladesh
গত কয়েক বছর ধরেই বিএনপি-জামাত এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তি সরকারকে বেকায়দায় ফেলার নানা অপচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৩-১৪ সালের কয়েক মাসজুড়ে বিএনপি-জামাতের নেতৃত্বে সারা দেশে চালানো হয়েছে ভয়াবহ সন্ত্রাস। এরপর শুরু হয়েছে হেফাজতে ইসলামসহ জঙ্গী গ্রুপগুলোর অপতৎপরতা। বর্তমানে প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছেন দেশ-বিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র বানচাল করে দিতে। এক্ষেত্রে তাঁরা এরই মাঝে বেশ সাফল্যও দেখিয়েছেন। আর একারণেই বিএনপি-জামাতসহ সরকার বিরোধী চক্র নতুন ষড়যন্ত্রে নেমেছে। এরা দেশের প্রশাসনকে পুরপুরি সরকারের বিরুদ্ধে দাড় করিয়ে নতুন কৌশলে সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এদের টার্গেট হলো যেকোনো মুল্যে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষমতাসীন দলের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাড় করিয়ে অশুভ ফায়দা লোটা। এদের টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন রাষ্ট্রের প্রশাসনে নিযুক্ত ক্ষমতাসীন দলের প্রতি প্রতিশ্রুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এদের বিরুদ্ধে চলছে তথ্য সন্ত্রাস। আর এসব অপকর্মে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন আওয়ামীলীগ বিরোধী অপশক্তি।
দেশের ভেতরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির ভয়ংকর পায়তারা চলছে। সরকারকে এসব শক্ত হাতে দমন করতে হবে। কেউই যেনো প্রশাসনকে ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে দাড় করাতে না পারে সেদিকে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। আমরা কোনোভাবেই দেশের অব্যাহত অর্থনীতিক সমৃদ্ধি থেমে যাক এটা চাইনা। আমরা সুখী-সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ চাই। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গর্বের সাথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক, এটাই চাই।